শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করলেও আবারও মূল্য 1.2387 লেভেলের নিচে স্থিতিশীল হতে ব্যর্থ হয়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.2387 এবং 1.2502 রেঞ্জের মধ্যে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। একইভাবে, ইউরোর মূল্যও স্থবির অবস্থায় রয়েছে, যদিও এই সপ্তাহে ইউরোর তীব্র দরপতনের জন্য একাধিক কারণ উপস্থিত ছিল। যদি ইউরো দরপতন ঘটতো, তাহলে সম্ভবত পাউন্ডও একই পথ অনুসরণ করত। ইউরোর মূল্যের স্থিতিশীলতার ফলে পাউন্ডের আরও বেশি দরপতন ঠেকানো গেছে, যদিও পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করার কথা ছিল। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ অস্বাভাবিক ছিল। সপ্তাহজুড়ে জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, পাশাপাশি ইসিবি এবং ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও এই ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষভাবে পাউন্ডের ওপর সীমিত প্রভাব ফেলেছে, তবে সার্বিকভাবে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাই মার্কেটে আবারও শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত, যতক্ষণ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে, ততক্ষণ এই প্রবণতাই বজায় থাকবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এবং সিগন্যালগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনে, মূল্য 1.2387 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে প্রায় 70 পিপস বৃদ্ধি পায়, তারপর দ্রুত রিভার্স মুভমেন্ট প্রদর্শন করে পুনরায় 1.2387 লেভেলে ফিরে আসে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2445 লেভেলের নিচে স্থিতিশীল হওয়ার পর, নতুন ট্রেডাররা তাদের লং পজিশন ক্লোজ করে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। উভয় ক্ষেত্রেই এক বা দুটি ট্রেড লাভজনক হতে পারত, যদিও মুভমেন্টগুলো বেশ অস্বাভাবিক ছিল।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্প-মেয়াদে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হয়েছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণভাবে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের পূর্বাভাস দিচ্ছি, কারণ আমরা মনে করি এটি একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। সুতরাং, এখন আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। বর্তমান কারেকশন কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করতে ট্রেন্ডলাইন সহায়তা করবে।
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অন্তত নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, কারণ মূল্য 1.2502-1.2508 এরিয়া এখনো ব্রেক করেনি। তবে, গত সপ্তাহে সাইডওয়েজ প্রবণতা দেখা গেছে, এবং মুভমেন্টগুলো অস্বাভাবিক ও অনিয়মিত ছিল।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক প্রকাশিত হবে। বিশেষভাবে, মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের প্রতি নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।